নুরুল ইসলাম ছিলেন অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ
যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ছিলেন দেশীয় শিল্প খাতের একজন অনন্য এবং সফল উদ্যোক্তা। গণমাধ্যম, পোশাক শিল্প, বিশ্বমানের শপিংমলসহ সব দিক বিবেচনায় তিনি সফল। তার সৃষ্টি দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশন সব সময় অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার। বিশেষ করে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নানা কেলেঙ্কারি অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে প্রকাশ ও প্রচার করেছে এ দুটি গণমাধ্যম। ঋণখেলাপি ও অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর ছিলেন নুরুল ইসলাম। আর্থিক লেনদেন, ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনেও তিনি ছিলেন একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। এ কারণে বাজারে তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে।
উত্তরাধিকার সূত্রে কোনো ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান পাননি নুরুল ইসলাম। বরং তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন ৪১টি প্রতিষ্ঠান এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠান সুপ্রতিষ্ঠিত। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন কিন্তু ঋণের অপব্যবহার করেননি। দেশের বেসরকারি খাতে বিনিয়োগে তার অনেক অবদান। তিনি শ্রমঘন কারখানা গড়েছেন। দেশ নয় শুধু, এশিয়ার বৃহত্তম শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কে প্রচুর লোক কাজ করে। গণমাধ্যমেও অনেক শিক্ষিত যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে। গার্মেন্ট কারখানায় বিপুলসংখ্যক শ্রমিক কাজ করে। এর মাধ্যমে লাখো মানুষের কর্মসংস্থান করেছেন তিনি। এছাড়া অনেক ব্যবসায়ী বিদেশমুখী। টাকা-পয়সা বাইরে নিয়ে যান।
বিদেশে অট্টালিকা গড়েন। অনেকের ব্যাপারে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে নুরুল ইসলাম ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি যা করেছেন দেশেই করেছেন। দেশের উন্নয়ন ও কল্যাণের জন্য করেছেন। তার অবদান কখনও ভোলা যাবে না। তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই। তার শারীরিক উপস্থিতি না থাকলেও তিনি দেশীয় উদ্যোক্তাদের রোল মডেল হয়ে থাকবেন। তার চলে যাওয়াতে শিল্প খাতের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। আমি তার মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত এবং বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
লেখক : বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর।
যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ছিলেন দেশীয় শিল্প খাতের একজন অনন্য এবং সফল উদ্যোক্তা। গণমাধ্যম, পোশাক শিল্প, বিশ্বমানের শপিংমলসহ সব দিক বিবেচনায় তিনি সফল। তার সৃষ্টি দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশন সব সময় অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার। বিশেষ করে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নানা কেলেঙ্কারি অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে প্রকাশ ও প্রচার করেছে এ দুটি গণমাধ্যম। ঋণখেলাপি ও অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর ছিলেন নুরুল ইসলাম। আর্থিক লেনদেন, ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনেও তিনি ছিলেন একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। এ কারণে বাজারে তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে।
উত্তরাধিকার সূত্রে কোনো ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান পাননি নুরুল ইসলাম। বরং তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন ৪১টি প্রতিষ্ঠান এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠান সুপ্রতিষ্ঠিত। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন কিন্তু ঋণের অপব্যবহার করেননি। দেশের বেসরকারি খাতে বিনিয়োগে তার অনেক অবদান। তিনি শ্রমঘন কারখানা গড়েছেন। দেশ নয় শুধু, এশিয়ার বৃহত্তম শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কে প্রচুর লোক কাজ করে। গণমাধ্যমেও অনেক শিক্ষিত যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে। গার্মেন্ট কারখানায় বিপুলসংখ্যক শ্রমিক কাজ করে। এর মাধ্যমে লাখো মানুষের কর্মসংস্থান করেছেন তিনি। এছাড়া অনেক ব্যবসায়ী বিদেশমুখী। টাকা-পয়সা বাইরে নিয়ে যান।
বিদেশে অট্টালিকা গড়েন। অনেকের ব্যাপারে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে নুরুল ইসলাম ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি যা করেছেন দেশেই করেছেন। দেশের উন্নয়ন ও কল্যাণের জন্য করেছেন। তার অবদান কখনও ভোলা যাবে না। তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই। তার শারীরিক উপস্থিতি না থাকলেও তিনি দেশীয় উদ্যোক্তাদের রোল মডেল হয়ে থাকবেন। তার চলে যাওয়াতে শিল্প খাতের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। আমি তার মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত এবং বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
লেখক : বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর।